অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সন্ত্রাসবাদে সমর্থন ও ইরানের সাম্প্রতিক গোলযোগে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে কানাডার আট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থা বিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মুজাহেদিনে খালক বা এমকেওর প্রতি সমর্থন দেয়ার কারণে কানাডার আট কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
এমকেও ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত এদেশের অন্তত ১৭,০০০ মানুষকে হত্যা করেছে।
কানাডার জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী মারকো মেন্ডিসিনো
কানাডার যেসব ব্যক্তির ওপর ইরান নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী মারকো মেন্ডিসিনো, প্রতিরক্ষামন্ত্রী অনিতা আনন্দ, প্রধান বিচারপতি রিচার্ড ওয়াগনার, সেনাপ্রধান ওয়াইন এয়ির, বিমান বাহিনী প্রধান এরিক কেনি, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাঙ্গুস টপশি, পুলিশ প্রধান ব্রেন্ডা লাকি।
এছাড়া, কানাডায় ইরানি নাগরিকদের সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ প্রদানকারী বিচারক ডেভিড ব্রাউনকেও নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত করেছে ইরান। আর কানাডার একমাত্র যে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ইরান নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেটি হচ্ছে কানাডার ডাক বিভাগ। ইরানবিরোধী নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে ভূমিকা রাখার জন্য কানাডার ডাক বিভাগের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার শিকার কানাডার এসব নাগরিকদের পাশাপাশি দেশটির ডাক বিভাগের কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কেউ ইরানের ভিসা পাবে না, বিকল্প কোনো উপায়ে ইরানে প্রবেশ করতে পারবে না, ইরানের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তাদের কোনো সম্পদ থাকলে তা জব্দ করা হবে। ইরানের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য থাকবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
Leave a Reply